বরিশাল নগরীতে দুই নারী নিখোঁজ হয়েছেন। ১৫ আগস্ট সকালে একই গন্তব্যে যাওয়ার কথা বলে তারা নিজ নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন।
মুন্নী আক্তার (২৫) ও রুনু বেগম (৪৫) নামে এ দুই নারী ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি সড়কে কারিকর বিড়ির শাখা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এই সুবাদে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দুই সপ্তাহ বেশি সময় ধরে তাদের নিখোঁজ থাকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশ বলছে, প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সন্ধান চলছে।
তবে এ ঘটনার জন্য দুই নারীর স্বজনেরা পরস্পরকে দায়ী করছেন। মুন্নী আক্তারের মা রাবেয়া বেগম এবং রুনু বেগমের বোন দোলা বেগম বিমানবন্দর থানায় পৃথক দুটি জিডি করেছেন। রুনু বেগমকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করেছে তার পরিবার।
পুলিশ ও দুই পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ছয়মাইল এলাকায় যাওয়ার কথা বলে মুন্নী আক্তার ও রুনু বেগম নিজ বাসা থেকে বের হয়ে যান। ওইদিন দুপুর আড়াইটার পর তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
নিখোঁজ মুন্নী আক্তার এক সন্তানের জননী। স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাঘিয়ায় আবু মিয়ার বাসায় মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। অন্যদিকে, রুনু বেগম তিন সন্তানের জননী। তিনি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি সড়কে আউয়াল মিয়ার বাসায় স্বামী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী দুলাল হাওলাদার চা দোকানি।
মুন্নীর বোন হাজেরা আক্তার জানান, ৬ মাস আগে রুনু বেগম অসুস্থ হলে তাকে সেবা দিতে তার বাসায় কয়েক দিন থাকেন মুন্নী। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে অস্বাভাবিক সুসম্পর্ক তৈরি হয়। রুনু প্রায়ই মুন্নীর বাসায় এসে একত্রে রাতযাপন করতেন। এ সময় চার বছর বয়সী সন্তানকেও সঙ্গে রাখতেন না মুন্নী। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি বিরাজ করছিল।
অন্যদিকে, রুনু বেগমের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে মানজিয়া বেগমের দাবি, তার মা বাসা থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। সে জানায়, মুন্নীর সঙ্গে মায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তাদের পরিবারেও অশান্তি চলছিল। তার বাবার সঙ্গে থাকতেন না মা রুনু বেগম।
মুন্নীর পরিবারের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। তাদের সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোবাইলের কললিস্ট চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হয়েছে। এটি পেলে তদন্তে অগ্রগতি হবে। একই কথা জানিয়েছেন রুনু বেগমের জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আমিনা বেগম।
Leave a Reply